বিদেশে চাকরি (ফিজি) - সাধারণ চুক্তি পত্র- পর্ব দুই
সাক্ষী—২ । নামঃ………………………………………… স্বাক্ষরঃ................................................
আসসালামু আলাইকুম। আশা করছি আমার বাংলাদেশি ভাইয়েরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালই আছেন। যারা বিদেশে চাকরি ডট কম এর ফেসবুক পেজে লাইক দিয়েছেন, সাইট ভিজিট করেছেন, আমাদের লেখা পড়েছেন
তাঁদের সবার জন্য আল্লাহর কাছে দুয়া করছি তিনি যেন আপনাদের জন্য হালার উপার্জন করার রাস্তা সহজ করে দেন এবং মানুষের প্রতারণা
থেকে আপনাদের হেফাজত করেন।
আপনাদের সবার প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ থা্কলো আপনি নিজে যদি বিদেশে আসতে চান অথবা আপনার কোন আত্মীয় আসতে চান কিংবা পরিচিত কেও আসতে চান তবে এই লেখা অবশ্যই পড়বেন।
এই চুক্তিপত্র নিম্নলিখিত এজেন্ট এর
এজেন্ট - ০১
নাম - রেজাউল করিম
মোবাইল - 01788255604
এই চুক্তিপত্র নিম্নলিখিত এজেন্ট এর
এজেন্ট - ০১
নাম - রেজাউল করিম
মোবাইল - 01788255604
পর্ব দুই
প্রসেসিং এর সময়
এই চুক্তি পত্রে বর্ণিত সমস্ত কাগজ জমা দেয়ার পরেই আমরা কম্পানি সিলেকশন ও ভিসা প্রসেসিং এর কাজ শুরু করে থাকি। তবে-
এই চুক্তি পত্রে বর্ণিত সমস্ত কাগজ জমা দেয়ার পরেই আমরা কম্পানি সিলেকশন ও ভিসা প্রসেসিং এর কাজ শুরু করে থাকি। তবে-
o
প্রাথমিকভাবে প্রসেসিং এর সময় তিন
মাস। এই তিন মাসের মধ্যে কম্পানি সিলেকশন করে ভিসা আবেদনের জন্য ফাইল প্রস্তুত করা
হয় এবং অনেক সময় এই সময়ের মধ্যেই ভিসা আবেদন করা হয়।
o
তিন মাসের মধ্যে কম্পানি সিলেকশন
করে ভিসা আবেদনের জন্য কাগজপত্র হাতে পাওয়ার পর যদি কোন কারণ বশত ভিসা আবেদন কর
সম্ভব না হয় তবে আরও এক মাস সময় দিতে হবে।
o
মনে রাখতে হবে যে, শুধুমাত্র এক
জনের জন্য ভিসা আবেদন করা হয়না। তিন মাসের মধ্যে ভিসা আবেদন করা সম্ভব হচ্ছেনা
অর্থ আরও কয়েক জনের ফাইল প্রস্তুত করা হচ্ছে এক সাথে আবেদন করার জন্য।
o
উপরক্ত তিন থেকে চার মাস শুধুমাত্র
ভিসা আবেদনের সময়।
o
ভিসা আবেদন করার পর এক থেকে দুই
মাস সময় লাগে ভিসার কপি বের হতেতবে এই সময় পুরোপুরি ফিজি সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
o
ভিসার কপি হাতে পাওয়ার পর
ফিংগারিং, ম্যানপাওয়ার ইত্যাদি করতে হয়।
o
ম্যানপাওয়ার হয়ে গেলে বিমানের
টিকেট কনফর্ম করা হয়। তবে মনে রাখতে হবে যে বিমানার ভাড়া আপ-ডাউন করার কারণে, অথবা
টিকেটের দুস্প্রাপ্পতার কারণে কিছু সময় এদিক সেদিক হতে পারে। এই সময় যাত্রীকে
অবশ্যই ধোর্য্যধারণ করতে হবে।
o
তবে বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে যে,
আমরা ভিসার কপি হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কোন যাত্রী তাঁর নিজ নিজ কর্ম থেকে বিরত
থাকবেনা, প্রত্যেকে তাঁর নিজ নিজ কর্ম চালিয়ে যাবে যাতে উপার্জন চালু থাকে। ভিসার
কপি পাওয়ার পর বিদেশে আসার প্রস্তুতি স্বরূপ নিজ নিজ করমস্থল থেকে অব্যহতি নিবে।
বিদেশে আসার
পর জরুরী জ্ঞ্যাতব্য বিষয়ঃ
একজন যাত্রীকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, এক এক দেশের আইন-কানুন, কাজের ধরণ একেক রকম হয়ে থাকে। সুতরাং সবাইকে দেশের আইনের, নিয়ম, কাজের ধরণ ইত্যাদির প্রতি অবশ্যই শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। এই বিষয়ে কেও (যাত্রী) কোন আপত্তি করতে পারবেনা। যেমন এদেশের কিছু সাধারণ নিয়ম-
একজন যাত্রীকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, এক এক দেশের আইন-কানুন, কাজের ধরণ একেক রকম হয়ে থাকে। সুতরাং সবাইকে দেশের আইনের, নিয়ম, কাজের ধরণ ইত্যাদির প্রতি অবশ্যই শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। এই বিষয়ে কেও (যাত্রী) কোন আপত্তি করতে পারবেনা। যেমন এদেশের কিছু সাধারণ নিয়ম-
·
কম্পানিতে
কাজ করার সময় যার যার সেফটি সু (জুতা) তাঁকে তাঁকে কিনে নিতে হয়।
·
কাজ
করার সময় শুধুমাত্র ছোট ছোট সাধারণ ব্যবহারের যন্ত্রপাতি প্রত্যেককে নিজ
নিজ কিনে নিতে হয়। তবে কিছু কিছু কম্পানি নিজেরাই দিতে পারে।
·
অন্যান্য
বড় বড় যন্ত্রপাতি কম্পানির।
·
এই
সাধারণ নিয়ম সবার জন্যই প্রযোজ্য। সুতরাং এটা সাধারণ ভাবেই গ্রহণ করতে হবে।
·
প্রত্যেকের
কাজের ট্রেডের উপর ভিত্তি করে ভিসা বের করা হয়। যিনি যে ট্রেডে কাজ জানেন তাঁকে
এদেশে আসার পর কম্পানি সেই ট্রেডের উপর স্কিল টেস্ট নিতে পারে। কেও তাঁর ট্রেড
অনুযায়ী কাজ না করতে পারলে কিংবা কম্পানি তাঁর কাজের দক্ষতার উপর কোন অভিযোগ করে
যদি তাঁর বেতন কম বেশি করে দেয় তবে সেটার দায়ভার শুধুমাত্র যাত্রীর।
এদেশের কাজের সাধারণ
কিছু নিয়মঃ
একজন যাত্রীকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, কম্পানি যেহেতু
আপনাকে প্রতি ঘন্টায় ডিউটি হিসেব করে বেতন দিবে তাই তাঁরা চাইবে আপনাকে সেই ভাবেই
কাজে লাগাতে যাতে তাঁরা সবচেয়ে বেশি বেনিফিট পেতে পারে। তাই এদেশের সাধারণ নিয়ম
হচ্ছে একজন কর্মচারী মোটামোটি সব কাজেই কম বেশি পারদর্শী হয়ে থাকে। যদিও একজন যাত্রীর একটি ট্রেডের উপর কাজে
যোগদান করে তবুও কম্পানির নিয়ম অনুযায়ী নিজে নিজ ট্রেডের বাইরেও অন্যট্রডের কাজে
সহযোগিতা করতে হয়। তাই-
v
প্রথমিকভাবে এদেশে আসতে একটি ট্রেডের বেশি কাজ জানা আবশ্যক
না হলেও যারা বেশি রকমের কাজ জানে তাঁরা অবশ্যই বেশি অগ্রাধিকার পাবে ইহাই সর্বজন
গৃহীত।
v
একজন রাজমিস্ত্রি এদেশে কয়েকবছর কাজ করলে অন্য কয়েকটি
ট্রেডেও দক্ষ হয়ে উঠতে পারে।
v
সুতরাং কম্পানির প্রয়োজনে আপনাকে সবরকম কাজই করিয়ে নিতে
পারে। এ ব্যাপারে কারও কোন আপত্তি গ্রহণযোগ্য না।
v
অন্য ট্রেডে কাজ করার সময় যারা জানে তাঁদের সহযোগী হিসেবে
কাজ করতে হয়। একই ভাবে প্রয়োজনে নিজ ট্রেডে কাজ করার সময় অন্য ট্রেডের ওয়ার্কারও
সহযোগী হতে পারে। এটা পুরোপুরি কম্পানির ফোরম্যানের উপর নির্ভরশীল।
সাইটে কাজ চলাকালিন সময় নিচের বিষয়ে অবশ্যই সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে যে-
Ø
একেক
কম্পানির ফোরম্যান একেক রকম হতে পারে। কেও কড়া মেজাজী, কেওবা সহজ সরল। সুতারং
সবাইকে সেইভাবেই মানিয়ে নিতে হবে।
Ø
কাজ
শুরু করার প্রথম দিন থেকেই খুব সিরিয়াস থাকতে হবে যেন ফোরম্যান কিংবা মালিক প্রথম
থেকেই আপনার উপর সন্তুষ্ট হয়ে যায়।
Ø
মনে
রাখতে হবে কতৃপক্ষ প্রথমেই যাকে ভাল নজরে নিবে তাঁর কিন্তু ভবিষ্যতে ভাল কিছুই হবে
এবং সেই কিন্তু কাজ করে আনন্দিত হবে।
Ø
মালিকপক্ষ
কাজের চাপ দিবে এটাই স্বাভাবিক সুতরাং তাঁরা দ্রুত কাজ করার জন্য চাপ প্রয়োগ,
বকাঝকা করলে বিষয়টাকে সুন্দরভাবে ম্যানেজ করে নিতে হবে।
Ø
সাইটে
ফোরম্যান এবং সিনিয়রের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করার ব্যাপারে কড়া নজর রাখতে হবে।
এতে সফল হলে অনেক সময় অনেক বিষয়ে অনেক ছাড় পাওয়া যায়। সুতরাং এটা অনেক
গুরুত্তপূর্ন।
Ø
সাইটে
সিনিয়রে বিষয়ে কাওকে কখনো অভিযোগ দেয়া যাবেনা। নিজের সমস্যা নিজেই সমাধানের চেষ্টা
করতে হবে।
Ø
বিদেশে
এসে কারও সাথে কোন সমস্যা হলে সেতা যথা সম্ভব সমাধান করে নিতে হবে। মনে রাখতে হবে
এটা বিদেশ, এখানে সমস্যা বাড়ালে সেটা বাড়তেই থাকবে।
Ø
ডিউটি রত অবস্থায় অথবা ডিউটির বাহিরে কেও কোন ধরনের গণ্ডগোল , মারামারি কিংবা
কোন অপরাধ করলে এর দায়ভার কম্পানী কিংবা এজেন্ট নিবেনা। এবং এর কারনে কম্পানি যদি
কাওকে দেশে পাঠিয়ে দেয় সেটারও দায়ভার যার যার নিজের।
Ø
যেহেতু
আপনি অনেক টাকা খরচ করে, দেশে পরিবার, ছেলে-মেয়ে, মা-বাবা সবাইকে রেখে আসছেন তাই
আপনার স্বার্থেই আপনার মেজাজ ধরে রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে আপনার একটা ভুল অনেকের
জন্য বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।
Ø
নিজের
দেহ, মন ইত্যাদির প্রতি নজর রেখে সবাইকে যথাসাধ্য আল্লাহর ইবাদতে সময় দিতে হবে।
মনে রাখতে হবে আপনি যাঁদের জন্য কষ্টার্জিত উপার্জন করছেন সেগুলার কোন কিছুই আপনার
কোন উপকার করতে পারবেনা। বিদেশে থেকে যাওয়ার সময় অন্তত পরকালে নিজের উপকারে আসবে
এমন কিছু সাথে নিয়ে যান এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আমিন
অঙ্গিকারনামাঃ
আমি………………………………………………………,
পাসপোর্ট নাম্বারঃ………………………………, পিতাঃ……………………………
গ্রাম/ঠিকানা………………………………………………………………………………………………………………………………………………
উপরোক্ত শর্তাবলী নিজে বুঝে পড়েছি। আমি এই মর্মে প্রতিজ্ঞা করছি যে, সমস্ত শর্তাবলী
মেনেই আপনাদেরকে ফিজিতে যাওয়ার জন্য আমার কাগজ ও টাকা লেনদেন করছি। আমার পক্ষথেকে
নিচের পরিচিত/ আত্নীয় কে সাক্ষী হিসেবে মনোনীত করছি-
সাক্ষী—১ । নামঃ…………………………………………
স্বাক্ষরঃ................................................
ঠিকানাঃ.......................................................................................................................................
সম্পর্কঃ........................................................................
সাক্ষী—২ । নামঃ………………………………………… স্বাক্ষরঃ................................................
ঠিকানাঃ.......................................................................................................................................
সম্পর্কঃ........................................................................
সাক্ষী—৩ । নামঃ………………………………………… স্বাক্ষরঃ................................................
ঠিকানাঃ.......................................................................................................................................
সম্পর্কঃ........................................................................
প্রথম পর্ব যারা পড়েন নি তাঁরা দয়া করে পড়ে নেন
No comments:
Post a Comment
অনুগ্রহ করে আমাদের ফেসবুকে পেজ অথবা সাইটের লেখাগুলো খুজে দেখুন আপনার প্রশ্নের উত্তর দেয়া আছে।