ফিজি আসতে খরচ - দালাল বনাম বাস্তবতা - বিদেশে চাকরি ডট কম

বিদেশে চাকরির খবর, কম্পানি সম্পর্কে সঠিক তথ্য,বেতন ও অন্যান্য বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করা হয়। আমরা কোন বিনিময় ছাড়াই সহযোগিতা করি সাদকায়ে জারিয়াহ এর আশায়।

নিয়মিত নামাজ কায়েম করুন, কারন কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামজের হিসাব নেয়া হবে। অনুরোধক্রমে - ঞ্জিঃ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম -পরিচালক, বিদেশে চাকরি ডট কম। বিদেশে চাকরি ডট কম কাওকে চাকরি দেয়না, বিদেশ আনেনা, এজেন্ট ধরিয়ে দেয়না, ভিসা দেয়না, কোন আর্থিক লেনদেন করেনা, শুধুমাত্র বাংলাদেশীদের সচেতন করে এবংকোন বিনিমিয় ছাড়ায় সহযোগিতা করে

আমার খাঁটি পণ্য ক্রয় করে সহায়তা করুন।

Wednesday, September 12, 2018

ফিজি আসতে খরচ - দালাল বনাম বাস্তবতা

ফিজিতে যারা বর্তমানে এসেছেন তাদের খরচের একটা চিত্র দেখেন আগে তার পর বলছি আসলেই খরচ কত হয়.

তুলশি কন্সট্রাকশন কোম্পানিতে যে সব বাংলাদেশি কাজ করেন তাদের মধ্যে যারা

ম্যাসন, কার্পেন্টার ও পেইন্টার রয়েছে তাদের কেও কেও. চার লাখ টাকায় এসেছেন, কেও সাড়ে চার লাখ কেওবা পাঁচ লাখ টাকায় এসেছেন! 

একজন ওয়েল্ডার এসেছেন সরাসরি সৌদি আরব থেকে তিনি একটু বেশি খরচ করেছেন. 

একই ভাবে 
সি আর ইঞ্জিনিয়ারিং , 
ভিনোদ ইন্ড্রাস্টি, 
ফোর আর ইলেক্ট্রিক্যাল ,
কান্তা কন্সট্রাকশন,
রটোমোল্ড,
জে কে বিল্ডার্স,
ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি কোম্পানিতে যারা এসেছেন সবারই প্রায় একই খরচ. মানুষ ভেদে কিছু তারতম্য আছে. 

খরচের তারতম্য কেন?
ফিজিতে আসার কোন ফিক্স খরচ নেই ভাই. যিনি লোক নিয়ে আসার কাজের সাথে জড়িত মোট খরচ অনেক সময় তার উপর নির্ভরশীল. কারণ নিজের আত্মীয় ও দূরের মধ্যে খরচ কম বেশি হওয়া সাধারণ ব্যপার.  

সুতরাং কেও যদি বলেন আমি তিন লাখ টাকায় এসেছি আবার কেও যদি বলেন আমি পাঁচ লাখ টাকায় এসেছি তাহলে দুজনই ঠিক. তবে আসল কথা হচ্ছে এজেন্ট যদি বেশি টাকা দাবি করে আর আপনি যদি দিতে রাজি হয়ে যান তাহলে কারও কিছু করার নেই এটা যেমন ঠিক তেমনি এজেন্টদেরও উচিত খরচ বেতনের, ভিসার মেয়াদ ও অন্যান্য সুবিধা বিবেচনা করে নির্ধারণ করা উচিত যাতে বাংলাদেশী ভাইয়েরা একটু হলেও উন্নতি করতে পারে! 

আসল খরচ
ফিজির ভিসা বের করতে হলে নিম্নোক্ত ধাপে ধাপে খরচ হয় যেমন,
এক – ভিসার আবেদন খরচ, আনুমানিক পচিঁশ হাজার টাকা.

দুই – ম্যানপাও্যার খরচ, আনুমানিক বিশ থেকে চল্লিশ হাজার হতে পারে. এটা নির্ধারিত ভাবে বলা কঠিন একটু.

বি:দ্র – ম্যানপাওয়ার না হলে এয়ারপোর্ট এ আলাদা খরচ হয়. এখানে  আশি থেকে এক লাখের মধ্যে হতে পারে.

তিন – যাওয়া ও আসার বিমান টিকেট , এটা এক লাখ পঁচিশ হাজার থেকে পঁয়ত্রিশ হাজার মত.

চার – এজেন্টকে কোম্পানি, ভিসা অফিসে ভিসা আবেদন জমা ও উত্তোলন এ  যাতায়াতের খরচ, এটা আনুমানিক বিশ হাজার.

পাঁচ -  লোক সংগ্রহে কাজে যারা জড়িত তাদের খরচ, এটা আনুমানিক বিশ হাজার থেকে পঁচিশ হাজার.

ছয় – কাগজ প্রস্তুত করার খরচ ইত্যাদি. এটা দুই থেকে তিন হাজার হতে পারে.

এর বাইরে আরও খরচ হয়ে থাকে অনেক সময় যা সঠিকভাবে বলা কঠিন. তবে যিনি ফিজিতে আসেন তিনি সাধারণত তিন বছরের জন্য আসেন প্রাথমিক ভাবে. এজেন্ট যাদেরকে নিয়ে আসেন তাদেরকে সাধারণত তিন বছরের মৌখিক গ্যারান্টি দিয়েই নিয়ে আসে, সাথে ভিসা রিনিউ হবে এটাও গ্যারান্টি বা দায়বদ্ধতা দিয়েই নিয়ে আসেন এই জন্য মোট খরচ বেশি হওয়া স্বাভাবিক. 

তবে একটি বিষয় মনে রাখা ভালো যে যিনি আপনার রিস্ক নিবে সে কিছু লাভ করবে এটাই বিজনেস. তাছাড়া আমাদের দেশ থেকে যারাই লোক আনার সাথে জড়িত তারা প্রায়ই সরাসরি লোক নিয়ে আসতে পারেনা, কয়েক অফিস, কয়েক এজেন্ট , কয়েক চক্র ঘুরে আসতে হয় দেখেই খরচের পরিমানটা অস্বাভাবিকভাবে বেশি. 

আপনি যে কম্পানিতে আসতে চাচ্ছেন তার বর্তমান অবস্থা জানতে কম্পানির নাম ও দেশের লাম লিখে আমাদের সাথে যোগাযোগ করেন. আমরা 100% সঠিক তথ্য দিতে চেষ্টা করবো. ইনশাআল্লাহ 


ছবি লোকেশন - Nadi , Fiji Island, 2018





বিশেষ ঘোষনাঃ

""বিদেশে চাকরি ডট কম কোন বিনিময় ছাড়াই সহযোগিতা করে, কম্পানির বর্তমান অবস্থা, দালালের কথা যাচাই , ভিসা চেক ইত্যাদি জানতে আমাদের সাইট বিভিন্য লেখা পড়ে দেখুন অথবা আমাদের ঠিকানায় প্রশ্ন করুন""