আসসালামু
আলাইকুম। আশা করছি আমার বাংলাদেশি
ভাইয়েরা আল্লাহর রহমতে
সবাই ভালই আছেন।
যারা বিদেশে চাকরি ডট কম এর ফেসবুক পেজে লাইক দিয়েছেন,
সাইট ভিজিট করেছেন,
আমাদের লেখা পড়েছেন
তাঁদের সবার জন্য আল্লাহর কাছে দুয়া করছি তিনি যেন আপনাদের জন্য হালার উপার্জন করার রাস্তা সহজ করে দেন এবং মানুষের প্রতারণা থেকে আপনাদের হেফাজত করেন।
আপনাদের সবার প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ থা্কলো আপনি নিজে যদি বিদেশে আসতে চান অথবা আপনার কোন আত্মীয় আসতে চান কিংবা পরিচিত কেও আসতে চান তবে এই লেখা অবশ্যই পড়বেন।
যারা বিদেশে চাকরি ডট কম
এর অ্যাডমিন
এই সাইটের প্রধান অ্যাডমিন পেশায় একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। তিনি বর্তমানে ফিজিতে থাকেন। এই সাইটে ফিজি সম্পর্কিত যত লেখা তিনি নিজেই লিখেন। সুতরাং সমস্ত লেখার বক্তব্য সঠিক।
বিদেশে চাকরি ডট কম চালু্ হওয়ার শুরুর কথা
এই সাইট চালু হওয়ার পিছনের কাহিনি খুবই করুণ। আসল কাহিনী শুরু হয়েছিল ২০১২ সালের দিকে। কাহিনী শুরু হওয়ার ৫ বছর আগেই ২০০৭ সালে প্রধান অ্যাডমিন দেশের এক সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছিলো। সেই থেকে তাঁর ইচ্ছা ছিলো বিদেশে চাকরি করার। সেই ইচ্ছাকে বাস্তবে রুপ দান করতে গিয়ে তিনি ২০১২ সাল থেকে ২০১৮ এর নভেম্বর পর্যন্ত চেষ্টা করে আল্লাহর একান্ত ইচ্ছায় সফলতা পেয়েছেন।
অন্য পোষ্টে সেই কাহিনী তুলে ধরা হবে। তবে আপনারা যারা বিদেশে আশার ইচ্ছা করছেন তাদের কাছে বিশেষভাবে অনুরোধ, হতাশ হবেননা। আল্লাহর উপর ভরসা করুন। মাঝে মাঝে হতাশ হলেও আবার আল্লাহর দরবারে ফিরে আসবেন। ইনশাআল্লাহ আলাদা ভাবে সেই বাস্তব কাহিনী আপনাদের সামনে তুলে ধরা হবে অন্য লেখায়।
বিদেশে চাকরি ডট কম এর আগের উদ্দেশ্য
এই সাইট শুরুই হয়েছি্লো অবহেলিত বাংলাদেশী ভাইদের বিদেশে সহযে নিয়ে আসার জন্য যত রকম সাহায্য সহযোগিতা প্রয়োজন তা পূরণ করা। প্রধান অ্যাডমিনের প্রথম পদক্ষেপই ছিলো প্রতারণা মুক্তভাবে বাংলাদেশী ভাইদের বিদেশে আনা। কিছু মৌলিক পদক্ষেপ গুলো নিচে দেওয়া হলোঃ
- প্রতারণামুক্ত ভাবে বাংলাদেশী ভাইদের বিদেশে আনা। ( কি কারণে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিলো সেটা অন্য পোষ্টে দেয়া হবে)
- প্রতারণামুক্ত ভাবে বাংলাদেশী ভাইদের বিদেশে নিয়ে আসার জন্য সাহায্য করা।
- প্রয়োজনে বাংলাদেশী ভাইদের শুধুমাত্র বিমানের খরচে বিদেশে নিয়ে আসা। এক্ষেত্রে শর্ত থাকবে যে বিদেশে আসার পর বাকি টাকা পরিশোধ করে অন্য আরেক গরীব ভাইকে সেই টাকা দিয়ে বিদেশ নিয়ে আসা।
- উপরোক্ত শর্তে যিনিই আসবেন তিনিও অন্য একজনকে একই ভাবে সহযোগিতা করার জন্য বিদেশে আসার পর বাকি টাকা পরিশোধ করা।
- বিদেশে এসে টাকা পরিশোধ এর সুযোগে বিদেশে আনা।
- অ্যাডভান্স পেমেন্ট ছাড়া ভিসা বের করে বিদেশে আনা।
- সম্পূর্ণ ফ্রিভাবে বিদেশে আনা। আসার পরে টাকা পরিশোধ করে সেই টাকা দিয়ে অন্য একজনকে আনা ইত্যাদি।
অনেকের কাছে উপরে পদক্ষেপগুলো হাস্যকর মনে হলেও এটা বাস্তবে সম্ভব ছিলো আমার জন্য। কারণ আল্লাহর রহমতে আমি একজন প্রকৌশলী হিসেবে ভালই বেতন পাচ্ছি। আর এতে আমি আল্লাহর কাছে সন্তুষ্ট। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশি দালালদের টাকার লোভ এতটাই প্রকোট ও তিনারা গরীব দুঃখী মানুষদের বিদেশে আনতে গিয়ে এতটাই প্রতারণার আশ্রয় নেয় (যদিও সবাই না) যে, আজ এক ভাই অন্য ভাইকে বিশ্বাস করার নুন্যতম আশাটুকুও দেখতে পাননা। আর এখন মানুষের প্রতি মানুষের বিশ্বাস একদন শূন্যের কোঠায়। এই বাস্তবতায় উপরোক্ত পদক্ষেপ সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।
প্রাথমিক উদ্দেশ্য এখন বন্ধ থাকার প্রধান কারণ
উপরের আলোচনায় যে কারণটি তুলে ধরা হয়েছে অর্থাৎ
আজ এক ভাই অন্য ভাইকে
বিশ্বাস করার নুন্যতম
আশাটুকুও দেখতে পাননা।
আর এখন মানুষের প্রতি
মানুষের বিশ্বাস একদন
শূন্যের কোঠায়। এই
বাস্তবতায় উপরোক্ত পদক্ষেপ
সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।
সেটা অবশ্য প্রধান
কারণ নয়। মানুষকে সাহায্য করার মানসিকতা নিয়ে যখন বিদেশে চাকরি ডট কম এর অ্যাডমিন বাস্তবে কাজ শুরু করেছিলো তখনই উনি দেখেছেন যে তিনি যতই সহযোগিতার মানসিকতা নিয়ে চলুক মানুষ এটা সহযে বিশ্বাস করবেন না। বাস্তবতা এততাই কঠিন যে, আপনি যদি বলেন,
- আমি ফ্রিতে বিদেশে লোক নিয়ে আসবো,
- আসার আগে একটাও টাকা লাগবেনা,
- সব টাকা আসার পরে দিতে হবে বেতন পেয়ে,
- অথবা বেতন পেলেই তবে দিতে হবে নতুবা না ইত্যাদি...
তবুও আপনি বলে বেড়াবেন,
- আমি কি আসলেই কাজ পবো বিদেশে গিয়ে,
- আমাকে কি আসলেই কাজ দিবে কম্পানি নাকি কি হবে,
- আসলেই রহস্য কি,
- আমি কি আবার দেশে ফেরত আসতে পারবো ইত্যাদি।
ধরে নিলাম আপনি আমাকে চিনেননা এই জন্য হয়তো এমন ভাবছেন! কিন্তু ভাইরে আগেই বলেছি কেও কাওকে বিদেশে আশার জন্য সহজেই বিশ্বাস করেননা। আর আমি (অ্যাডমিন) এমন সুবিধা দিতে গিয়ে ফিজিতে আমার কম্পানি থেকে নিজের উপার্জন করা ৫০ হাজার টাকা প্রথমেই আমাকে লস দিতে হয়েছে। কারণ আমি যাকি আনতে চেয়েছিলাম শর্ত ছিলো,
- প্রথমে কোন অ্যাডভান্স টাকা দিতে হবেনা,
- ভিসা বের হওয়ার আগে কোন টাকা দিতে হবেনা,
- ভিসা বের হওয়ার পর শুধুমাত্র ৫০% টাকা দিতে হবে যাতে ম্যানপাওয়ার ও বিমানের টিকেট কাটতে পারি।
- বাকি টাকা ফ্লাইটের দিন দিতে হবে
এর পর কি হয়েছিলো শুনবেন?
- ভিসা বের হলো।
- সে আসতে অস্বীকৃতি জানালো। কারণ হিসেবে জানালো সে খুবই গরীব। ২.৫ লাখ টাকাও এখন দিতে পারবেনা।
এর পর তাঁকে বললাম,
- শুধুমাত্র টিকেটের আগের টাকগুলা দেন এখন,
- বাকি টাকা বেতন পেয়ে পেয়ে দিয়েন,
- আচ্ছা বেতন পেলে দিয়েন না পেলে নাই ইত্যাদি। এর পরেও সে আসেনি। আর তত দিনে আমার ৫০ হাজার টকা খরচ হয়ে গিয়েছে তাঁর জন্য। সে আসেই নি, আমার খরচের তাকাও দেয়নি।
ভাবছেন এই ৫০ হাজার টাকা নিজের পকেট থেকে লস করেই আমি গুটিয়ে গেছি।না ভাই। এর পরের কাহিনী আরও করুণ।
পরবর্তী পর্বে আমি সেই লোকের মোবাইল নাম্বার ও ঠিকানা দিয়ে দিবো। আপনার চাইলে কল করে আমার উপরের কাহিনীর সাথে মিলিয়ে নিয়েন। পরবর্তি পর্বে আপনি পাবেন,
সেই লোকের ঠিকান যাকে এত সহয শর্ত দেওয়ার পরেও বিদেশ আসেনি,
যার কারণে আমার নিজের উপার্জিত ৫০ টাকা লস গেছে,
বিদেশে চাকরি ডট কম এর
বর্তমান উদ্দেশ্য কি কি! ইত্যাদি
যারা এই পর্ব পড়েছেন বিশেষভাবে অনুরোধ থাকছে এই লেখা পড়ার পর অবশ্যই ফেসবুকে লাইক, কমেন্ট ও এই পোস্ট শেয়ার করবেন। নিজে উপকৃত হয়ে অবশ্যই অন্যকে সহযোগিতা করুণ।
আমাদের ফেসবুক পেজ আমাদের ফেসবুক পেজ। ক্লিক করুন এখানে।